অফিসের ছুটি প্রায় আধ ঘন্টা আগে হয়ে
গেছে। চুপচাপ একা একা কেবিনে বসে ল্যাপটপে মেল চেক করছি। যাদের নিজেদের
গাড়ি আছে তারা অনেকে চলে গেছে। বাইরে ঝড় বৃষ্টি এখন কমেনি, সেই বিকেল
চারটে থেকে শুরু হয়েছে। আমার একটু তাড়া ছিল বের হবার কিন্তু বের হবার জো
নেই। রেজিগ্নেশান দিয়ে দিয়েছি গত সপ্তাহে, এক বড় কম্পানিতে ভাইস
প্রেসিডেন্ট টেকনিক্যাল হতে চলেছি কিছু দিনের মধ্যে। বেড় হতে হবে আমাকে,
ঘোরার চেয়ে বড় কথা হচ্ছে সেই জায়গা, কিন্তু বৃষ্টিতে কি করে বের হব সেটা
বড় চিন্তা।
কেবিনের দরজা খুলে বেড়িয়ে
দেখলাম দ্বিতীয় সিফটের ইঞ্জিনিয়ার গুলো বসে আছে, বেশির ভাগ ডেস্ক খালি।
কাফেটেরিয়ার দিকে হেঁটে গেলাম, কেউ নেই কোথাও। ঘড়ি দেখলাম সাড়ে সাতটা
বাজে, এর পরে বের হলে নৈনিতাল পৌঁছতে দেরি হয়ে যাবে, আমাকে যেতে হবে তার
ওপরে, মুন্সিয়ারি। ঘুরতে যাবার বাতিক আছে তার সাথে বাতিক আছে একটু ফটো
তোলার। কফি কাপ নিয়ে কফি মেশিনের দিকে এগিয়ে যেতেই পেছন থেকে শুনতে পেলাম
একটা মিষ্টি গলা।
“কি স্যার এখন বাড়ি যাননি?” ঘাড়
ঘুড়িয়ে দেখলাম, দেসদিমনা সাহারিয়া। বাবা মা যেন খুঁজে খুঁজে নাম
রেখেছিল মেয়ের, যেমন নাম তেমনি দেখতে। দেসদিমনা অফিসের নতুন জুনিয়ার
এইচ.আর ম্যানেজার, কত আর বয়স হবে, আন্দাজ করে নেওয়া যাক, এই পঁচিশ
পেরিয়েছে। আসামিজ মেয়ে, দেখতে বেশ সুন্দরী বলা চলে, গায়ের রঙ বেশ ফর্সা।
মেয়েটা অফিস জয়েন করার পরে এইচ.আর এর কাছে সব ছেলের কাজ যেন বেড়ে যায়।
বেশ একটু খোলামেলা পোশাক আশাক পরে মেয়েটা, টাইট টপ যাতে উদ্ধত বুকের
আকৃতি বেশ ভালো ভাবে ফুটে উঠত, এমন কি মাঝে মাঝে ঘাড়ের কাছ থেকে তো টপ সরে
গিয়ে ভেতর ব্রার কাঁধের স্ট্রাপটা পর্যন্ত দেখা যেত। কোনদিন গোলাপি,
কোনদিন নীল কোনদিন কালো। সরু কোমর, অবশ্য কোমর দেখতে কেউ হয়ত পায়নি, তবে
বেশির ভাগ দিন হাঁটু পর্যন্ত জিন্স পরে আসত, মলায়ম কোমল পায়ের গুলি দেখে
তো ছেলেদের প্যান্ট ছোটো হয়ে যেত। সুগোল নিতম্ব ওপরে জেঁকে বসে থাকা
জিন্স, চলনে মনে হত যেন দুটো নরম কোমল ময়দার তাল ছন্দে ছন্দে দুলছে, আর
তার সাথে পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা ছেলে গুলোর আহা উঁহু অস্ফুট আওয়াজ। আমার
কপাল খারাপ, বসি কেবিনে, পদ ডাইরেক্টার টেকনিকাল তাই লাস্যমায়ির রূপ আমার
চোখের আড়ালে থাকতো বেশির ভাগ সময়ে।
আমি হেসে জিজ্ঞেস করলাম “তোমার কি খবর, তুমি এখন অফিসে কেন?”
0 comments:
Post a Comment
Note: only a member of this blog may post a comment.